আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আজকে আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে, কী কী লাগে, কী উপায়ে যাওয়া যায় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা হলো।
আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
আর্টিকেলের ভিতরে যা থাকছে
আপনারা যারা আমেরিকা যেতে তারা অনেকেই জানতে চান যে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এবং কি কি প্রয়োজন। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না বিশ্বের যতগুলো দেশ আছে তার মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী এবং সুন্দর দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমেরিকা। আমেরিকা সারা পৃথিবীর মধ্যে অর্থনৈতিক এবং শাসন ক্ষমতার শীর্ষে। তাই যারা আমেরিকা যেতে তাদের অবশ্যই জানা দরকার সেখানে যেতে কেমন খরচ হবে। তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে জেনে নেয়া যাক। আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী।
আমেরিকা ভিসার দাম কত
আমেরিকা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। তবে আমেরিকা যেতে হলে আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। ভিসার ক্যাটাগরির ধরনের উপর আপনার ভিসার খরচ হবে। তবে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে চান তাহলে যেসব ভিসা ক্যাটাগরিতে যেতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে-
- স্টুডেন্ট ভিসা
- কাজের ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- চিকিৎসা ভিসা ইত্যাদি
উপরের প্রতিটি ভিসা ক্যাটাগরির জন্য খরচের টাকা নির্ধারিত হয়।
আমেরিকা ভিসা আবেদন করার নিয়ম
আমেরিকা ভিসা আবেদন করার নিয়ম নিচে দেওয়া হলো-
- নিয়োগকারী কোম্পানির প্রিটিশন ফাইল সাবমিট করতে হবে।
- আপনার প্রিটিশন ফাইল সাবমিট করা হলে সেটি ন্যাশনাল ভিসা সেন্টারের নিকট প্রদান করা হবে তারা আপনার সকল তথ্য যাচাই করবে অতঃপর মেইলের মাধ্যমে আপনাকে NVC লেটার পাঠাবে
- NVC লেটার পাওয়ার পরে আপনি ভিসা প্রসেসিং ফি প্রদান করবেন। ভিসা প্রসেসিং ফি আবার দুই ভাবে করতে হবে। একটি অভিবাসি ভিসা আবেদন ফি এবং অন্যটি সাপোর্ট হালনামা ফি
- আপনার ফি প্রদানের পরে আপনাকে একটি শপথপত্র প্রদান করা হবে সেটি পুরন করে জামা দিতে হবে
- আপনার আর্থিক ফি প্রদানের কাজপত্র এবং অন্যান্য কাগজপত্র একত্রিত করে জমা দিতে হবে
- আপনার এই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পরে আপনি যে ভিসাতে আমেরিকাতে যেতে চাচ্ছেন সেটার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
- এবার আপনি আপনার সকল কাগজপত্র বাংলা এবং ইংরেজির তে মাধমে অনুবাদ করে প্রদান করতে হবে। উল্লেখ্য কাগজপত্রের মধ্যে থাকবে, জন্ম সনদ, পুলিশ সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট প্রিটিশনার ডকুমেন্ট
- আপনার স্কল ফাইল গুলো স্ক্যান করে সেগুলো একক ফাইল বানিয়ে পিডিফ করে জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য সকল ফাইল রঙিন হতে হবে এবং সেই সাথে ফাইলের সাইজ সর্বোচ্চ ২ এম্বি হতে হবে।
- আপনার সকল ডকুমেন্ট NVC Time frames পেজে জমা দিতে হবে
- আপনার সকল তথ্য ঠিক থাকলে তারা আপনার সাথে ইন্টারভিউ নিবে।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকা একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় সেখানে যাওয়ার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। এইসকল যোগ্যতা ও দক্ষতা ছাড়া আপনি আমেরিকা যেতে পারবেন। নিচে তা দেওয়া হলো-
- ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন
- নিদির্ষ্ট কাজে দক্ষতা অর্জন
- পর্যাপ্ত ব্যাংক ব্যালেন্স
- একটি বৈধ পাসপোর্ট
- আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যে শর্তাবলি আছে সেগুলা থাকা।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত ?
আপনারা অনেকেই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত এই বিষয়ে জানতে চান। নিচে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত তা দেওয়া হলো-
- বাংলাদেশ থেকে ওয়াশিংটন বিমান ভাড়া- ১৬০০ ডলার হতে ১৮০০ ডলার।
- বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্ক বিমান ভাড়া- ১৪০০ ডলার হতে ১৬০০ ডলার।
- বাংলাদেশ থেকে সিয়াটল বিমান ভাড়া- ২১০০ ডলার হতে ২২৫০ ডলার।
- বাংলাদেশ থেকে বোস্টন বিমান ভাড়া- ১৫০০ ডলার হতে ২০০০ ডলার।
- বাংলাদেশ থেকে শিকাগো বিমান ভাড়া- ১৪০০ ডলার হতে ১৬৫০ ডলার।
- বাংলাদেশ থেকে হিউস্টন বিমান ভাড়া- ১৭০০ ডলার হতে ১৯০০ ডলার।
- বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সিসকো বিমান ভাড়া- ১৮০০ ডলার হতে ২০০০ ডলার।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে ২১ ঘন্টার একটু বেশি সময় লাগে বিমানে। তবে ডুবাই এয়ারপোর্ট থেকে যদি আমেরিকা যান তাহলে আপনার ১৫ ঘন্টার একটু বেশি সময় লাগবে।
আরও জানুনঃ রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে 2023
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে, কি কি লাগে এ সর্ম্পকে জেনেছেন। এছাড়াও যদি আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে, কি কি লাগে এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।